রংপুরের পীরগাছায় ক্ষুদ্রসেচ সার্কেল বিএডিসি কে লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম মিলন সহ তার পরিবার হামলার শিক্ষার।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলে ও আসামী ধরতে বিলম্ব করছেন পীরগাছা থানা পুলিশ অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ক্ষুদ্রসেচ,সার্কেল বিএডিসি রংপুর অঞ্চলে ভূ- উপরিস্থ পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় গভীর নলকূপ স্থাপন করেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম মিলন এর পৈত্রিক সম্পত্তির উপর।
সেটি আজিজুল ইসলাম নামে একজন কে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় তবে ওই স্কিমে তার নিজস্ব কোনো জমি নেই।
এছাড়া তিনি বিএডিসির একাধিক গভীর নলকূপ পরিচালনা করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় পৈত্রিক সম্পত্তিতে স্থাপিত গভীর নলকূপটি পরিচালনার দায়িত্ব চেয়ে বিএডিসি, রংপুর (ক্ষুদ্রসেচ) সার্কেল বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পীরগাছা থানা ধিন ত্রিপুর গ্রামের ফেরদৌস মন্ডল এর পুত্র মঞ্জুরুল আলম মিলন। অভিযোগ আমলে নিয়ে ২৮/০৩/২০২৪ইং সকাল ১১.টার দিকে বিএডিসি, রংপুর (ক্ষুদ্রসেচ) সার্কেল, কতিপয় কর্মকর্তা দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত করার জন্য আসেন।
অত্রএলাকার সাখাওয়াত হোসেনের পুত্র সুলতান মিয়ার বাড়ির উঠানে বসে অভিযোগের তদন্তের সময় স্থানীয় লোকজন সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করিতে থাকে।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মিলন ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় আজিজুল ইসলামসহ তার ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী একপর্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয় মিলনের উপর অতর্কিত হামলা চালায় আজিজুল ও তার বাহিনী।
ভাইকে বাঁচাতে তার বোন ফিরোজা খাতুন এগিয়ে আসলে তাকেও লোহার রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে মার ড্যাং করেন এমতাবস্থায় তাদের হাতে, পায়ে, বুকে, পিঠে, কানে, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফুলা জখম হয়।
একপর্যায়ে তার শ্লীলতাহানী করা হয় বলে অভিযোগ করেন ফিরোজা খাতুন।
পরে গুরুতর অবস্থায় মিলন ও তার বোন ফিরোজা কে উদ্ধার করে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম (৩৮)-পিতা- সোহরাপ হোসেন। তুষার মিয়া (৩০) পিতা-আজিজল ইসলাম। আজাদুল ইসলাম (৪৫)-পিতা-মৃত সজিতুল্যাহ। শহিদুল ইসলাম (৩০)-পিতা-মৃত শরফ উদ্দিন। সুলতান মিয়া (৩০)-পিতা-সাখাওয়াত হোসেন। আজিজুল ইসলাম (৫৫)-পিতা-মৃত তমিজ উদ্দিন। ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৪/৫ জন কে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেন ফিরোজা খাতুন।
এবিষয়ে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম মিলন বলেন, বিএডিসির কর্মকর্তারা আমার অভিযোগের তদন্তে এসেছিল কিন্তু আমাকে জানায়নি।
তাদের উপস্থিতিতে আমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়।
আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
মিলনের বোন ও মামলার বাদী ফিরোজা খাতুন বলেন, মামলা রেকর্ড হলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানোসহ মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।
অনেক লোকের সামনে আমার শ্লীলতাহানী করা হয়েছে।
আমি দোষীদের বিচার চাই। এবিষয়ে পীরগাছা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সুশান্ত কুমার এর সাথে মুঠোফোনে কথা হোলে ,তিনি বলেন মামলায় যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।