মূল ফটকে তালা লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা ভেতরে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে দুর্নীতির দ্বায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজ,কুমিল্লার ইনট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরি খানম।
নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ) শিক্ষার্থীদের তুপের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন। এর আগেও কয়েকবার তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে কিন্তু নানা কারণে তিনি বহাল তবিয়তে থাকলেও এবার তিনি শিক্ষার্থীদের তুপের মুখে পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করলেন।
সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা নার্সিং ইনস্টিটিউটে একত্রিত হতে থাকে এবং দুপুরের পর ক্লাস শেষে তারা ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জের কক্ষে অবস্থান নেয়।
শিক্ষার্থীরা জানান,
আকবরী খানম এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ইনস্টিটিউটের তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণ ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময় নানা রকম প্রভাব খাটিয়ে এসব করেছেন। কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। বর্তমানে আমরা শিক্ষার্থীরা এই দুর্নীতিবাজ শিক্ষককে পদত্যাগের দাবি করছি।
হোস্টেলে খাবার রান্না করে বাসায় পাঠাইতে হইত। খাবার ভালো নাহলে গালমন্দ করত।
তাদের দাবি পরবর্তীতে কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা যেন এ ধরনের দূর্নীতি করার সাহস না পায় তার জন্য দূর্নীতিগ্রস্থ ইনচার্জের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
ইনচার্জের পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, কুমিল্লা নার্সিং ইন্সটিটিউটে তিনি নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ পদে (নিজ দায়িত্বে) কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আনিত অভিযোগ ও অনিয়মের কারণে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ (নিজ বেতনে) এর পদ হতে পদত্যাগ করেছেন।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এই লিখিত পদত্যাগ পত্রে সিলসহ স্বাক্ষর করে এই পদত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরী খানম বলেন, প্রতিষ্ঠান যেভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন সেই নিয়ম অনুযায়ী পরিচালনা করেছি। শিক্ষার্থীদের উপকরণগুলো করোনার আগে কিনেছি কিন্তু করোনার কারণে এবং একটার পর একটা সমস্যা থাকায় শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে দিতে পারিনি। শিক্ষার্থীদের জন্য ক্রয় করা উপকরণ গুলো কলেজে আছে।
জিএমআরএ