কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ডিডি মধুসূদন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় মসজিদের এসি খুলে এডি রুমে লাগানো হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একজন সংবাদকর্মী এসি মিস্ত্রিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, ডিডি স্যারের নির্দেশে এডি স্যারের রুমে এসি লাগানো হচ্ছে। মিস্ত্রি আরও জানান, মসজিদে একটি এসি থাকায় অতিরিক্ত এসিটি এডি রুমে লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সাংবাদিক ও স্থানীয়দের উপস্থিতির খবর পেয়ে পুনরায় মসজিদের এসি মসজিদে লাগানো হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বর্তমান ডিডি যোগদানের পর থেকে তিনি নিজের ইচ্ছামতো কাজ করছেন। মসজিদ থেকে এসি খুলে নেওয়ার মতো কাজের জন্য তার থেকে ভালো কিছু আশা করা অসম্ভব। পাসপোর্ট করতে আসা ব্যক্তিরাও ডিডি ও এডির প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
সূত্রমতে, মসজিদের প্রবেশ গেইট গ্রিল দিয়ে বন্ধ করার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, মধুসূদন সরকার মসজিদের এসি খুলে এডি রুমে লাগানোর নির্দেশ দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছেন। তাকে দ্রুত বদলি না করা হলে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ আন্দোলনে নামবে।
এই বিষয়ে সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর আবিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পাসপোর্টের ডিডি মুধুসূদন সরকার মুঠোফোনে জানান, মসজিদ বলতে কিছু নেই, নামাজ আদায়ের জন্য একটি কক্ষ আছে, সেই রুমে দুটি এসি লাগানো ছিলো। যেখানে একটি এসিতেই রুমটি কাভার হয়। নতুন এডির রুমে কোন এসি নাই, সেজন্য কনফারেন্স রুম থেকে একটি এসি খোলার কথা ছিলো, মিস্ট্রি ভুলে নামাজ রুম থেকে ইনডোর খোলে ফেলে, এসির আউটডোর খোলা হয়নি। বিষয়টি জানার সাথে সাথে আবার এসির ইনডোর টি জায়গামত প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছি।
গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীঁয কয়েকজন টেম্পারিং ফাইল নিয়ে নতুন এডির কাছে আসেন, এডি সেই ফাইল স্বাক্ষর না করাতেই যত ঝামেলা তৈরি হয়েছে। তিনি আরে জানান, নতুন এডি চাকরিতে জয়েন করেছে অল্প কদিন আগে। আমি নামাজ রুম থেকে এসি খোলার নির্দেশ দেইনি।