কুমিল্লায় ভারতীয় অবৈধ চোরাচালানের তথ্য পেয়ে ফোর্স পাঠাতে চেয়েও না পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে বুড়িচংয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হকের বিরুদ্ধে।
থানাটি সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় প্রতিদিনই ভারতীয় মাদক, চিনি, কসমেটিক্স, শাড়ি-কাপড়, মোবাইল, গরুসহ নানান ধরণের চোরাচালানের মাধ্যমে পরিবহণের ক্ষেত্রে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জনশ্রুতি আছে যে, এসব চোরাকারবারিরা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই নাকি প্রতিনিয়ত তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তখন অনুমান ৬: ৪০ মিনিট, পেশাগত কাজ শেষ করে ব্রাহ্মণপাড়া থানা এলাকা থেকে কুমিল্লা শহরের উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন দৈনিক মুক্ত খবর, জয়যাত্রা টেলিভিশন, মুভি বাংলা টেলিভিশন ও দৈনিক সকালের একদল অনুসন্ধানী টিম। হঠাৎ ফোন আসলো ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে নীল রংয়ের একটি পিকআপ ভর্তি চিনি ব্রাহ্মণপাড়া এলাকা থেকে বুড়িচং বাজার হয়ে কংশোনগর এলাকায় যাবে সেটি। এমন তথ্য পেয়ে অনুসন্ধানী টিম অবস্থান নেন বুড়িচং বাজারে। কিছু সময় পর ৭:০১ মিনিটে দেখা মিললো সেই চোরাচালানকৃত অবৈধ ভারতীয় চিনি ভর্তি পিকআপটির। সঙ্গে সঙ্গে অনুসন্ধানী টিম বুড়িচং থানার কর্তব্যরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হককে বিষয়টি জানালে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ফোর্স পাঠানোর জন্য প্রতিশ্রুতি দেন। অন্যদিকে অনুসন্ধানী টিম চোরাচালানকৃত পিকআপ ভর্তি অবৈধ চিনির গাড়িটিকে লক্ষ করে বুড়িচং বাজার থেকে সাদকপুর বাজার পর্যন্ত দীঘ ৩৫ মিনিট অনুস্বরণ করার পরও কোন ফোর্স আসেননি কিংবা ওই টিমের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করেননি থানা পুলিশের কেউই।
পরে এ বিষয়ে জানতে সরাসরি থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হককে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলেও এ নিউজ লেখা পর্যন্ত তিনি কোন উত্তর দেননি।