Dhaka 2:05 pm, Sunday, 22 December 2024

কুমিল্লায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা : সাতজন গ্রেপ্তার

Lকুমিল্লায় নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এবং প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলিংর মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ৭ প্রতারককে গ্রেপ্তারকরেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।  এরা হলেন, কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার সুবর্ণপুর এলাকার সৈয়দ আব্দুর রউফ এর ছেলে সৈয়দ আয়াত উল্লাহ (৩৭), বালুতুপা গ্রামের মো. ইসহাক মিয়ার ছেলে ইমরান হোসেন (৪০),  একই এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. কবির হোসেন (২৮), বরুড়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মোজাম্মেল হক (৩৬), গালিমপুর গ্রামের মো. আলী আজগর এর ছেলে মো. আব্দুর রহিম, চান্দিনা উপজেলার কেশরা গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের মেয়ে তাসনুবা আক্তার (২৩) ও লাকসাম উপজেলার বড় বিজরা গ্রামের মো. মোস্তফা কামালের ছেলে মো. সাখাওয়াত হোসেন (২৮)।  

ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন সময়ে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময়ে চাঁদা আদায়ের জন্য ব্যবহৃত ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরিত সাতটি অলিখিত স্টাম্প, স্বাক্ষরিত সাতটি খালি ব্যাংক চেক উদ্ধার করে পুলিশ। এর মধ্যে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়া সৈয়দ অয়াত উল্যাহ ও ইমরান হোসেন, ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দেয়া মো. মোজাম্মেল হক, চাঁদা আদায়কারী মো. সাখাওয়াত হোসেন, ফাঁদে ফেলার বাসার মালিক মোহাম্মদ কোভিদ হোসেন ও পুরো ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তাসনুভা আক্তার।

পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, প্রতারক চক্রটি টার্গেট করে লাকসাম উপজেলার বড় বিজরা গ্রামের মো. মারুফকে (ছদ্মনাম)। একপর্যায়ে চক্রের সদস্য তরুণী তাসনুবার মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলা হয়। পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভুক্তভোগীর সঙ্গে প্রতারক তাসনুবার অশ্লীল ও অনৈতিক কাজের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরে, ধারণকৃত ভিডিও চিত্রের ভয় দেখিয়ে তারা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এখানেই শেষ নয়। ঘটনার পর ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয়ে আগমন ঘটে আরো কয়েকজন প্রতারকের।    

ভুক্তভোগীকে থানায় মামলা দেওয়ার ও ভুয়া মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারের ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি।  এই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে শনিবার রাত দেড়টায় আসামি সৈয়দ আয়াত উল্লাহকে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্য মতে অভিযান চালিয়ে সকলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে, অলিখিত ৭টি স্ট্যাম্প, ভিকটিমের স্বাক্ষরিত ০৭ টি চেক, চাঁদাবাজির নগদ ২৪ হাজার টাকা ও অপরাধে ব্যবহৃত ০১টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্র্যাফিক) নাজমুল হাসান রাফি, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া সহ প্রমুখ। 

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

কুমিল্লায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা : সাতজন গ্রেপ্তার

আপলোড সময় : 07:36:08 pm, Saturday, 4 May 2024

Lকুমিল্লায় নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এবং প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলিংর মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ৭ প্রতারককে গ্রেপ্তারকরেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।  এরা হলেন, কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার সুবর্ণপুর এলাকার সৈয়দ আব্দুর রউফ এর ছেলে সৈয়দ আয়াত উল্লাহ (৩৭), বালুতুপা গ্রামের মো. ইসহাক মিয়ার ছেলে ইমরান হোসেন (৪০),  একই এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. কবির হোসেন (২৮), বরুড়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মোজাম্মেল হক (৩৬), গালিমপুর গ্রামের মো. আলী আজগর এর ছেলে মো. আব্দুর রহিম, চান্দিনা উপজেলার কেশরা গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের মেয়ে তাসনুবা আক্তার (২৩) ও লাকসাম উপজেলার বড় বিজরা গ্রামের মো. মোস্তফা কামালের ছেলে মো. সাখাওয়াত হোসেন (২৮)।  

ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন সময়ে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময়ে চাঁদা আদায়ের জন্য ব্যবহৃত ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরিত সাতটি অলিখিত স্টাম্প, স্বাক্ষরিত সাতটি খালি ব্যাংক চেক উদ্ধার করে পুলিশ। এর মধ্যে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়া সৈয়দ অয়াত উল্যাহ ও ইমরান হোসেন, ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দেয়া মো. মোজাম্মেল হক, চাঁদা আদায়কারী মো. সাখাওয়াত হোসেন, ফাঁদে ফেলার বাসার মালিক মোহাম্মদ কোভিদ হোসেন ও পুরো ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তাসনুভা আক্তার।

পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, প্রতারক চক্রটি টার্গেট করে লাকসাম উপজেলার বড় বিজরা গ্রামের মো. মারুফকে (ছদ্মনাম)। একপর্যায়ে চক্রের সদস্য তরুণী তাসনুবার মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলা হয়। পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভুক্তভোগীর সঙ্গে প্রতারক তাসনুবার অশ্লীল ও অনৈতিক কাজের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরে, ধারণকৃত ভিডিও চিত্রের ভয় দেখিয়ে তারা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এখানেই শেষ নয়। ঘটনার পর ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয়ে আগমন ঘটে আরো কয়েকজন প্রতারকের।    

ভুক্তভোগীকে থানায় মামলা দেওয়ার ও ভুয়া মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারের ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি।  এই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে শনিবার রাত দেড়টায় আসামি সৈয়দ আয়াত উল্লাহকে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্য মতে অভিযান চালিয়ে সকলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে, অলিখিত ৭টি স্ট্যাম্প, ভিকটিমের স্বাক্ষরিত ০৭ টি চেক, চাঁদাবাজির নগদ ২৪ হাজার টাকা ও অপরাধে ব্যবহৃত ০১টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্র্যাফিক) নাজমুল হাসান রাফি, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া সহ প্রমুখ।