কুমিল্লার আর্দশ সদর উপজেলার ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যা মামলায় একই উপজেলার কালিবাজারের ইউপি চেয়ারম্যান সেকান্দার আলী সহ ১৪ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত ।
আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ১১ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ও ৩ পলাতক রয়েছেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুমিল্লা জেলার কোতওয়ালী থানার ধনুয়াখালী এলাকার অমৃত হাজী মোঃ আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ সেকান্দর আলী (৬৪), একই এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে মোঃ শাহীন (৩৯), সৈয়দপুর এলাকার আব্দুস সাত্তার এর ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩২), কমলাপুর এলাকার মোঃ মোজাম্মেল হকের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (২১), যশপুর এলাকার মৃত আহম আলীর ছেলে মফিজ ভান্ডারী, কমলাপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার মোঃ জয়নাল মাস্টারের ছেলে মোঃ কায়সার (৩২), কমলাপুর এলাকার মৃত মনিরের ছেলে মোঃ রিয়াজ (৩৩), মনশাসন এলাকার শফিক মেম্বার এর ছেলে বিল্লাল, কমলাপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহমান এর ছেলে কামাল হোসেন, কালির বাজার ইউনিয়নের আবদুল ওহেদ এর ছেলে মোঃ ইব্রাহীম খলিল (৪৫), রায়চোঁ এলাকার ইমদাদুল হকের ছেলে মেহেদী হাসান, সৈয়দপুর এলাকার মৃত হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে জয়নাল আবেদীন, বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে আব্দুল কাদের, নারায়নসার এলাকার মৃত আশ্রাব আলীর ছেলে আনোয়ার।
মামলার তথ্যমতে, ২০২০ সালের ১০ জুন কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার ইউনিয়ন এর কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে কবরস্থান সংলগ্ন বাগানে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা পারভেজ কে নির্মমভাবে হত্যা করেন তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সেকান্দর আলী এবং তার বাহিনীর ক্যাডারেরা।
এই বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো: শরিফুল ইসলাম জানান, এই চাঞ্চল্যকর পারভেজ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে এজাহারে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করে। এই ঘটনায় চারজন আসামীর ১৬৪ ধারা জবানবন্দি ও ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনের পর আদালত ১৪ জন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। রায়ের সময় ১৪ জন আসামীর মধ্যে ১১ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন বাকী ৩ জন আসামী পলাতক ছিলেন।
ওই ঘটনায় নিহত স্ত্রী বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ করেন। পরে মামলাটি তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসলে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজেই বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তবে মামলা চলাকালে ৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সোমবার দুপুরে এ রায় দেন আদালত।
এদিকে রায়ের অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে নিহত পারভেজের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন,আসামি সবার ফাঁসি চেয়েছি,আমার জামাইরে তারা নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। আমি ন্যায় বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাবো।