Dhaka 4:42 am, Sunday, 5 January 2025

কুমিল্লায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বাদীকে ভূয়া মামলায় গ্রেপ্তার

কিছুদিন আগে কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানাধীন গৌরিপুর এলাকায় একদল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন মহিউদ্দিন নামে এক ভুক্তভোগী। যার অভিযোগ নং (SDR- ১৪১৭)। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি ও প্রাঁণনাশের হুমকির কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু অভিযোগ পাওয়ার ১৬ দিন অতিবাহিত হলেও এ ঘটনায় থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে তিনি অভিযোগ করে কথা বলেন সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে। আর তাতেই অনেকটা বিরক্ত হয়েই থানার অফিসার ইনচার্জ জুনায়েত চৌধুরী পরের দিনই মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) আটক করে থানায় নেন ওই ভুক্তভোগীকে। আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে অফিসার ইনচার্জ জুনায়েত চৌধুরী বলেন, আটককৃত ব্যক্তি ৫ আগস্টের একটি হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী। হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী হলেও এতোদিন তিনি প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও তাকে এতোদিন আটক না করে এখন কেন আটক করা হলো এমন প্রশ্ন করা হলে অফিসার ইনচার্জ কোন উত্তর দিতে পারেননি।

 

অন্যদিকে থানায় ১৬ দিন আগে বাদীর দায়েরকৃত চাঁদা দাবি ও প্রাঁণনাশের হুমকির অভিযোগটি আমলে নিয়ে কেন এফআইআর করা হলো না জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়েও উপযুক্ত কোন উত্তর দিতে পারেননি। অভিযোগে দাউদকান্দি মডেল থানার পেন্নাই এলাকার মৃত আর্শাদ মিয়ার ছেলে মোঃ বাবুল মিয়া (৫২), বাবুল মিয়ার ছেলে মোঃ সৈকত (৩৩), মৃত আর্শাদ মিয়ার ছেলে মোঃ রিপন (৪৮), জুলমুদ মিয়ার ছেলে মোঃ সোহাগ মিয়া (৪২) সহ ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা করে বিবাদী করা হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেরই দাবি বিবাদীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। তারা এলাকায় নানান ধরণের অপরাধের সহিত জড়িত।

 

এ দিকে দাউদকান্দির ৫ আগস্টের একটি হত্যা মামলায় মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় মামলার বাদী লিটন আহমেদ পাভেল আমাদেরকে মুঠোফোনে জানান, তিনি এজাহার নামীয় আসামি মহিউদ্দিনকে আগে থেকে চিনতেন না, তার নামটি মিসটেক জনিত কারণে হয়েছে। তাছাড়া তার জানা মতে মহিউদ্দিনের নামটি এজাহারে আগে ছিলোই না, এই নামটি কিভাবে যুক্ত হলো তা তিনি নিজেও জানেন না বলে জানান তিনি। বাদীর দাবি, এজাহারে তার স্বাক্ষর থাকলেও কয়েকটা নাম কে যেন ঢুকিয়েছে তা তিনি জানেন না। এজাহারে আসামিদের নামগুলো কে দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন নাম দেয়নি, এজাহারটি থানায় টাইপ করা হয়েছিলো, আমি স্বাক্ষর দিয়েছি।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, বাদী লিটন আহমেদ পাভেল ভিকটিমের (নিহত বাবু) পারিবারিকভাবে কেউই নন। বাদী ছাত্র দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়। অন্যদিকে ভুক্তভোগী মহিউদ্দিন বিদেশ থেকে ফিরে এসে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এমনকি জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি পরোক্ষ বা প্রতক্ষভাবে মোটেও জড়িত না থাকলেও তিনি হয়েছেন এজাহার নামীয় ২৩নং আসামী। অথচ মামলার বাদী বলছেন আসামীকে তিনি চিনে না, তার নামটি মিসটেক জনিত কারণে হয়েছে।

 

এ বিষয়ে জানতে দাউদকান্দি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ও কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁনকে ফোন দেওয়া হলে কেউই ফোন রিসিভ করেননি। পরে এ বিষয়ে জানতে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আরাফাতুল ইসলামকে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, বিষয়টি আদালতের বিষয়। ভুক্তভোগীকে আসামিকে করে আটক করে হয়রানী করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা বাদীকে ধরেন, আর আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।

 

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশ জুড়ে এ পর্যন্ত হওয়া ঢালাও মামলায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘটনা সম্পর্কে আসামিদের সিংহভাগ কিছুই জানেন না। বাদী চেনেন না আসামিকে, আসামিরাও চেনেন না বাদীকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বাদী নিজেও ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এমনও অভিযোগ উঠেছে, শত শত মানুষকে আসামি করে মামলা দিতে বাদীকে বাধ্য করা হয়েছে, কখনো দেখানো হয়েছে টাকার প্রলোভনও। পূর্ব শত্রুতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করা এবং চাঁদাবাজি ও হয়রানি করতে অনেককে আসামি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। মামলায় কাদের আসামি করা হবে, সেক্ষেত্রে বাদীর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, নিয়ন্ত্রণ থাকে অন্যদের হাতে।

 

সরকার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, এসব মামলায় নিরীহ কাউকে যেন হয়রানি না করা হয়, প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া না গেলে কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অনেককেই এসব মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বা এখনো করা হচ্ছে। আবার ঘটনার সঙ্গে কোন সম্পৃক্ততা না থাকলেও আসামি হয়ে নিরপরাধ অনেকেই গ্রেফতারের ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ইতিমধ্যে একাধিকবার বলেছেন, ঢালাও মামলা দিয়ে বাণিজ্য করার বহু অভিযোগ তারা পেয়েছেন। মামলা দিয়ে বাণিজ্য করা যাবে না বলেও তিনি সতর্ক করেন।

 

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছিলেন ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের হওয়া মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না, কোনো পুলিশ সদস্যকেও অযথা ভিকটিমাইজ করা হবে না। নিরীহ কারো নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) গত ১৯ নভেম্বর চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বলেছিলেন, আগে ভুয়া মামলা করত পুলিশ। এখন করছে পাবলিক (জনগণ)। বেশির ভাগ মামলা ভুয়া। আগে পুলিশের করা ভুয়া মামলায় ১০টা নাম আর ৫০টা বেনামি আসামি থাকত। এখন পাবলিক (জনগণ) দিচ্ছে ১০টা নাম, ৫০টা ভুয়া নাম। মামলাগুলো পুলিশ, র‍্যাব কিংবা আনসার দেয়নি। জনগণই দিচ্ছে। তদন্তে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা।

 

Write Your Comment

About Author Information

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

কুমিল্লায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বাদীকে ভূয়া মামলায় গ্রেপ্তার

আপলোড সময় : 03:20:36 pm, Wednesday, 1 January 2025

কিছুদিন আগে কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানাধীন গৌরিপুর এলাকায় একদল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন মহিউদ্দিন নামে এক ভুক্তভোগী। যার অভিযোগ নং (SDR- ১৪১৭)। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি ও প্রাঁণনাশের হুমকির কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু অভিযোগ পাওয়ার ১৬ দিন অতিবাহিত হলেও এ ঘটনায় থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে তিনি অভিযোগ করে কথা বলেন সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে। আর তাতেই অনেকটা বিরক্ত হয়েই থানার অফিসার ইনচার্জ জুনায়েত চৌধুরী পরের দিনই মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) আটক করে থানায় নেন ওই ভুক্তভোগীকে। আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে অফিসার ইনচার্জ জুনায়েত চৌধুরী বলেন, আটককৃত ব্যক্তি ৫ আগস্টের একটি হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী। হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী হলেও এতোদিন তিনি প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও তাকে এতোদিন আটক না করে এখন কেন আটক করা হলো এমন প্রশ্ন করা হলে অফিসার ইনচার্জ কোন উত্তর দিতে পারেননি।

 

অন্যদিকে থানায় ১৬ দিন আগে বাদীর দায়েরকৃত চাঁদা দাবি ও প্রাঁণনাশের হুমকির অভিযোগটি আমলে নিয়ে কেন এফআইআর করা হলো না জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়েও উপযুক্ত কোন উত্তর দিতে পারেননি। অভিযোগে দাউদকান্দি মডেল থানার পেন্নাই এলাকার মৃত আর্শাদ মিয়ার ছেলে মোঃ বাবুল মিয়া (৫২), বাবুল মিয়ার ছেলে মোঃ সৈকত (৩৩), মৃত আর্শাদ মিয়ার ছেলে মোঃ রিপন (৪৮), জুলমুদ মিয়ার ছেলে মোঃ সোহাগ মিয়া (৪২) সহ ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা করে বিবাদী করা হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেরই দাবি বিবাদীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। তারা এলাকায় নানান ধরণের অপরাধের সহিত জড়িত।

 

এ দিকে দাউদকান্দির ৫ আগস্টের একটি হত্যা মামলায় মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় মামলার বাদী লিটন আহমেদ পাভেল আমাদেরকে মুঠোফোনে জানান, তিনি এজাহার নামীয় আসামি মহিউদ্দিনকে আগে থেকে চিনতেন না, তার নামটি মিসটেক জনিত কারণে হয়েছে। তাছাড়া তার জানা মতে মহিউদ্দিনের নামটি এজাহারে আগে ছিলোই না, এই নামটি কিভাবে যুক্ত হলো তা তিনি নিজেও জানেন না বলে জানান তিনি। বাদীর দাবি, এজাহারে তার স্বাক্ষর থাকলেও কয়েকটা নাম কে যেন ঢুকিয়েছে তা তিনি জানেন না। এজাহারে আসামিদের নামগুলো কে দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন নাম দেয়নি, এজাহারটি থানায় টাইপ করা হয়েছিলো, আমি স্বাক্ষর দিয়েছি।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, বাদী লিটন আহমেদ পাভেল ভিকটিমের (নিহত বাবু) পারিবারিকভাবে কেউই নন। বাদী ছাত্র দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়। অন্যদিকে ভুক্তভোগী মহিউদ্দিন বিদেশ থেকে ফিরে এসে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এমনকি জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি পরোক্ষ বা প্রতক্ষভাবে মোটেও জড়িত না থাকলেও তিনি হয়েছেন এজাহার নামীয় ২৩নং আসামী। অথচ মামলার বাদী বলছেন আসামীকে তিনি চিনে না, তার নামটি মিসটেক জনিত কারণে হয়েছে।

 

এ বিষয়ে জানতে দাউদকান্দি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ও কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁনকে ফোন দেওয়া হলে কেউই ফোন রিসিভ করেননি। পরে এ বিষয়ে জানতে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আরাফাতুল ইসলামকে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, বিষয়টি আদালতের বিষয়। ভুক্তভোগীকে আসামিকে করে আটক করে হয়রানী করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা বাদীকে ধরেন, আর আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।

 

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশ জুড়ে এ পর্যন্ত হওয়া ঢালাও মামলায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘটনা সম্পর্কে আসামিদের সিংহভাগ কিছুই জানেন না। বাদী চেনেন না আসামিকে, আসামিরাও চেনেন না বাদীকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বাদী নিজেও ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এমনও অভিযোগ উঠেছে, শত শত মানুষকে আসামি করে মামলা দিতে বাদীকে বাধ্য করা হয়েছে, কখনো দেখানো হয়েছে টাকার প্রলোভনও। পূর্ব শত্রুতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করা এবং চাঁদাবাজি ও হয়রানি করতে অনেককে আসামি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। মামলায় কাদের আসামি করা হবে, সেক্ষেত্রে বাদীর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, নিয়ন্ত্রণ থাকে অন্যদের হাতে।

 

সরকার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, এসব মামলায় নিরীহ কাউকে যেন হয়রানি না করা হয়, প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া না গেলে কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অনেককেই এসব মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বা এখনো করা হচ্ছে। আবার ঘটনার সঙ্গে কোন সম্পৃক্ততা না থাকলেও আসামি হয়ে নিরপরাধ অনেকেই গ্রেফতারের ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ইতিমধ্যে একাধিকবার বলেছেন, ঢালাও মামলা দিয়ে বাণিজ্য করার বহু অভিযোগ তারা পেয়েছেন। মামলা দিয়ে বাণিজ্য করা যাবে না বলেও তিনি সতর্ক করেন।

 

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছিলেন ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের হওয়া মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না, কোনো পুলিশ সদস্যকেও অযথা ভিকটিমাইজ করা হবে না। নিরীহ কারো নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) গত ১৯ নভেম্বর চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বলেছিলেন, আগে ভুয়া মামলা করত পুলিশ। এখন করছে পাবলিক (জনগণ)। বেশির ভাগ মামলা ভুয়া। আগে পুলিশের করা ভুয়া মামলায় ১০টা নাম আর ৫০টা বেনামি আসামি থাকত। এখন পাবলিক (জনগণ) দিচ্ছে ১০টা নাম, ৫০টা ভুয়া নাম। মামলাগুলো পুলিশ, র‍্যাব কিংবা আনসার দেয়নি। জনগণই দিচ্ছে। তদন্তে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা।