শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কর্মস্থলে যোগ দেননি এমন ১৮৭ কর্মকর্তাকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী-১ বিজিবি সদর দফতর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন,পুলিশে এ পর্যন্ত ১৮৭ জন কর্মকর্তা যোগদান করেননি। তারা আর পুলিশ বাহিনীর নাই। আমি ধরে নিয়েছি তারা সন্ত্রাসী। তাদেরকে যদি পাওয়া যায় সরাসরি তাদের গ্রেফতার করা হবে। ক্রিমিনালের ক্ষেত্রে যে ধরনের আইন,তাদের ক্ষেত্রেও একই আইন প্রয়োগ করা হবে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য থাকলে সেটিও দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন,আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া বিসিএস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োগ গত ১৫ বছর যাবত হয়েছে। এটার বিরুদ্ধে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। তাদের ক্ষেত্রে ডেফিনেটলি (অবশ্যই) একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন,পুলিশ পুরোদমে কাজে যোগদান করতে পারছে না,এটা নিঃসন্দেহে একটা সত্যি কথা। জনগণের যে গুঞ্জন এটা মিথ্যা না। তবে গত ৫ আগস্টের পর যে অবস্থা ছিল সেটা থেকে এখন অনেকটা উত্তরণ হয়েছে, ইম্প্রুভ তো করেছে। তাদের ভিতর একটা ট্রমা কাজ করেছে। দুই/চার দিনে এটা কাটিয়ে উঠা কঠিন। তবে আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে।
কৃষি খাতকে যান্ত্রিককরণ ও সারের দুর্নীতির বিষয়ে কৃষি উপদেষ্টা বলেন,কৃষিক্ষেত্রে শুধু যান্ত্রিকীকরণই নয়,সারের ক্ষেত্রে একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে। এটার ক্ষেত্রে আমরা একটা তদন্ত করছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুই/একজনকে ইতোমধ্যে আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে।
পলাতক প্রভাবশালী নেতাদের অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পারলে সাংবাদিকদের পুরস্কার দেয়ার কথাও জানান এ উপদেষ্টা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে রাজশাহী ব্যাটেলিয়ান-১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মতিউল ইসলাম মন্ডল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সফরকারীরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে উপদেষ্টা পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন-১৪ বিজিবি পরিদর্শন করেন। এদিন র্যাব-৫ কার্যালয় ও বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প কার্যালয়ও পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।