নিহত মো.তামিম হোসেন একই ইউনিয়নের মধ্য চরবাগ্যা গ্রামের মো.দুলালের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তামিম নানার বাড়িতে বাবা-মায়ের সাথে স্থায়ী ভাবে বসবাস করত। গত ১৩ নভেম্বর নিজেদের বাড়ির উঠানে ভিকটিমের মামাতো ভাই মো. ইসমাইলের (৪) সাথে তার চাচাতো ভাই মো.জুনায়েদের (৭) খেলাধুলা করছিল। খেলার সময় ইসমাইল ও জুনায়েদের সাথে ঝগড়া লেগে যায়। একপর্যাায়ে ইসমাইল হাতের কাছে থাকা দা জুনায়েদকে লক্ষ করে ছুঁড়ে মারে। ওই সময় জুনায়েদ সরে গেলে ভুলবশত তামিমের কপালে গিয়ে পড়ে দা। এতে তার মাথা কেটে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা প্রথমে তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে ১৫ নভেম্বর রাতে ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ১৬ নভেম্বর সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।