Dhaka 2:17 pm, Saturday, 21 December 2024
বেকিং নিউজ :
Logo Kometa Casino Live Casino 💰 Get 200% up to INR 10 000 INR 💰 180 Free Spins Logo কুমিল্লার দেবিদ্বার বিহার মন্ডল এলাকায় বিএনপি’র কর্মী সভা অনুষ্ঠিত Logo মোহনপুরে এবার দেড় লাখ টন আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা Logo চৌদ্দগ্রামে ডলবা গ্রাম কমিটি গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo বিচারবিভাগের রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুণঃপ্রবর্তনের সুযোগ এসেছে – কুমিল্লায় হাবিব উন নবী সোহেল Logo আবাসিক হোটেল থেকে ৫ তরুণ ও ৩ তরুণী গ্রেফতার  Logo কুমিল্লায় কাপড়ের ব‍্যাগে গাঁজা পাচারকালে আটক দুই নারী Logo ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৪ Logo মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৯ নং ওয়ার্ডে দিনব্যাপী ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত Logo কুমিল্লা তিতাস উপজেলায় ৯ নং মজিদপুর ইউনিয়নের বি এন পির নবগঠিত আহবায়ক কমিটি ঘোষণা

এই ধরনের অবস্থা সৃষ্টি হবে ভাবতে পারিনি : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে, অনেকগুলো প্রাণ শেষ হয়ে গেছে… আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি, এই সময় এই ধরনের অবস্থা সৃষ্টি হবে। আর সেখানে এতগুলো তাজা প্রাণ যাবে।  

আজ (বুধবার) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান।

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, কষ্টের বিষয় হলো, যেখানে কোনো ইস্যুই ছিল না.. যে কোটা আমি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে দিয়েছিলাম… হাইকোর্টের রায় এটাকে যখন আবার নিয়ে আসা হয়, তখন আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করি। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির তারিখ নির্দিষ্ট করে দেয়। কাজে আবার সেই কোটা ফিরে আসে। 

যে প্রাণগুলো ঝরে গেল, তারা তো আর রে া
শেখ হাসিনা বলেন, কোটা সংস্কার ইস্যুতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিল করে সরকার। সব দাবি মানা হলো। তারপরও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে যা যা ঘটেছে, এত প্রাণ যাবে, এটা ভাবতেও পারিনি আমি। আমার দিক থেকে কোটা ইস্যুতে কোনো ঘাটতি রাখিনি। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। স্থাপনা হয়তো পুনর্নির্মাণ করা যাবে, ফিরে পাওয়া যাবে, কিন্তু যে প্রাণগুলো ঝরে গেল, তারা তো আর ফিরবে না৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না অপরাধটা কী আমাদের। যে ইস্যুটা নেই সেটা নিয়ে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে কে কী অর্জন করল সেটাই আমার প্রশ্ন। সেখানে এতগুলো তাজাপ্রাণ ঝরে গেল। সেগুলোতো আর ফিরে পাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে আমি বেঁচে আছি। আমি জানি আপনজন হারালে কী কষ্ট হয়। মানুষ একটা শোক সইতে পারে না আর আমি তো সবাইকে হারিয়ে আছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে সম্মানের সাথে দেখে। সেই বাংলাদেশে আবার রক্ত ঝরবে, কেন এই রক্ত ঝরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে ক্ষমতা তো ভোগের বস্তু না। আমি তো আরাম-আয়েশ করার জন্য ক্ষমতায় আসিনি। আমি দিনরাত পরিশ্রম করেছি বাংলাদেশটাকে উন্নত করতে, আর সেটা আমি সফলভাবে করতে পেরেছি। আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেই মর্যাদা কেন নষ্ট করা হলো সেটার বিচারের ভার আমি দেশবাসীর কাছে দিচ্ছি।
 
আন্দোলন ঘিরে হতাহতদের ঘটনায় মর্মাহত জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা বুঝি আমি। তাই কারও বুক খালি হোক তা আমি কখনোই চাইনি। প্রতিটি মৃত্যর ঘটনা তদন্ত হবে। এ বিষয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা চেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদক হিসেবে ছিল ৬টি স্বর্ণ, ৮টি রৌপ্য ও ৮টি ব্রোঞ্জ পদক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

Kometa Casino Live Casino 💰 Get 200% up to INR 10 000 INR 💰 180 Free Spins

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

এই ধরনের অবস্থা সৃষ্টি হবে ভাবতে পারিনি : শেখ হাসিনা

আপলোড সময় : 02:18:18 pm, Wednesday, 31 July 2024

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে, অনেকগুলো প্রাণ শেষ হয়ে গেছে… আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি, এই সময় এই ধরনের অবস্থা সৃষ্টি হবে। আর সেখানে এতগুলো তাজা প্রাণ যাবে।  

আজ (বুধবার) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান।

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, কষ্টের বিষয় হলো, যেখানে কোনো ইস্যুই ছিল না.. যে কোটা আমি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে দিয়েছিলাম… হাইকোর্টের রায় এটাকে যখন আবার নিয়ে আসা হয়, তখন আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করি। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির তারিখ নির্দিষ্ট করে দেয়। কাজে আবার সেই কোটা ফিরে আসে। 

যে প্রাণগুলো ঝরে গেল, তারা তো আর রে া
শেখ হাসিনা বলেন, কোটা সংস্কার ইস্যুতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিল করে সরকার। সব দাবি মানা হলো। তারপরও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে যা যা ঘটেছে, এত প্রাণ যাবে, এটা ভাবতেও পারিনি আমি। আমার দিক থেকে কোটা ইস্যুতে কোনো ঘাটতি রাখিনি। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। স্থাপনা হয়তো পুনর্নির্মাণ করা যাবে, ফিরে পাওয়া যাবে, কিন্তু যে প্রাণগুলো ঝরে গেল, তারা তো আর ফিরবে না৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না অপরাধটা কী আমাদের। যে ইস্যুটা নেই সেটা নিয়ে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে কে কী অর্জন করল সেটাই আমার প্রশ্ন। সেখানে এতগুলো তাজাপ্রাণ ঝরে গেল। সেগুলোতো আর ফিরে পাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে আমি বেঁচে আছি। আমি জানি আপনজন হারালে কী কষ্ট হয়। মানুষ একটা শোক সইতে পারে না আর আমি তো সবাইকে হারিয়ে আছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে সম্মানের সাথে দেখে। সেই বাংলাদেশে আবার রক্ত ঝরবে, কেন এই রক্ত ঝরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে ক্ষমতা তো ভোগের বস্তু না। আমি তো আরাম-আয়েশ করার জন্য ক্ষমতায় আসিনি। আমি দিনরাত পরিশ্রম করেছি বাংলাদেশটাকে উন্নত করতে, আর সেটা আমি সফলভাবে করতে পেরেছি। আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেই মর্যাদা কেন নষ্ট করা হলো সেটার বিচারের ভার আমি দেশবাসীর কাছে দিচ্ছি।
 
আন্দোলন ঘিরে হতাহতদের ঘটনায় মর্মাহত জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা বুঝি আমি। তাই কারও বুক খালি হোক তা আমি কখনোই চাইনি। প্রতিটি মৃত্যর ঘটনা তদন্ত হবে। এ বিষয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা চেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদক হিসেবে ছিল ৬টি স্বর্ণ, ৮টি রৌপ্য ও ৮টি ব্রোঞ্জ পদক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান।