Dhaka 1:10 am, Monday, 23 December 2024

উন্নয়নে যারা পাশে তাদের সঙ্গেই চলবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে যেসব দেশ বাংলাদেশের পাশে থাকবে তাদের সঙ্গেই চলবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, কার দেশের সঙ্গে কার দেশের ঝগড়া (যুদ্ধ) সেটা আমার দেখার দরকার নেই। আমার নিজের দেশের উন্নয়নটা আমার আগে দরকার। আমার দেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে আমি তাদের নিয়ে চলব। সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক মিনিটব্যাপী ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।

শান্তির সপক্ষে তার বলিষ্ঠ অবস্থানের পুনরুল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব সময় শান্তি চাই। আমরা যুদ্ধ চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। আর সেই বন্ধুত্ব রেখেই এগিয়ে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সামনে কিন্তু অনেক কাজ। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আর তোমরাই হবে সেই স্মার্ট বাংলাদেশের মূল সৈনিক এবং তোমরাই এ দেশকে গড়বে। কারণ তোমরা ইতিহাসটাকে যেভাবে তুলে ধরেছ তাতে সত্যিই আমি চোখের পানি রাখতে পারিনি। তিনি অংশগ্রহণকারীদের অনেক দোয়া ও অভিনন্দন জানিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, আমি মনে করি আর এই বাংলাদেশকে কেউই পেছনে টানতে পারবে না। ১৫ আগস্টের পর যেভাবে আমাদের ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত করা হয়েছিল, আর যেন কেউ এটা করতে না পারে সেজন্য আমাদের সব সময় সজাগ থাকতে হবে। দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন যুগ হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ। জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগ। কাজেই ছেলেমেয়েদের এটাই বলব-লেখাপড়া ও জ্ঞানার্জন ছাড়া নিজেদের যেমন তৈরি করতে পারবে না, দেশকেও তৈরি করতে পারবে না।

’৯৬ সালে প্রথমবার সরকার গঠনের পর কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এবং বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়ে মোবাইল ফোন ও তথ্যপ্রযুক্তিকে জনগণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, সেখান থেকে আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। দ্বিতীয়টার জন্য প্রস্তুতি চলছে। কেননা একটি স্যাটেলাইটের মেয়াদ থাকে ১৫ বছর। তিনি বলেন, যদিও আমি শুনি অনেকে বলে এই স্যাটেলাইটের কী দরকার ছিল! আমাদের বাংলাদেশের কিছু মানুষ রয়েছে যাদের সবকিছুতেই ‘কিছু ভালো লাগে না’। এই কিছু ভালো লাগে না গ্রুপের আরও বক্তব্য হচ্ছে মেট্রোরেল, এটার কী দরকার ছিল? এক্সপ্রেসওয়ে করা শুধু শুধু পয়সা নষ্ট-এ রকম লোকজন নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে সব সময় চললেও এসবের সুবিধাগুলো আবার ঠিকমতোই নিজেরা ভোগ করে।

 

 

করোনাকালীন প্রয়োজন পড়ায় প্রধানমন্ত্রী এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা নিজেরাও নিজেদের গৃহস্থালি কাজ সামলেছেন উল্লেখ করে বলেন, আমরা কিন্তু নিজেরাই নিজেদের কাজ করেছি এবং কাজ করতে আমরা কখনোই লজ্জাবোধ করি না। নিজের কাজটা নিজে করাটাই সব থেকে সম্মানের এবং অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা আমাদের কমাতে হবে।

তিনি ভিডিওচিত্র নির্মাণ ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার আয়োজনে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটা আমি মনে করি আমাদের ছোট্ট শিশুদের ভেতরে একটি আদর্শ (জাতির পিতার) এবং স্বাধীন বাংলাদেশের চেতনা গড়ে উঠবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের মধ্যে সনদপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

উন্নয়নে যারা পাশে তাদের সঙ্গেই চলবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

আপলোড সময় : 05:13:30 pm, Tuesday, 4 June 2024

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে যেসব দেশ বাংলাদেশের পাশে থাকবে তাদের সঙ্গেই চলবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, কার দেশের সঙ্গে কার দেশের ঝগড়া (যুদ্ধ) সেটা আমার দেখার দরকার নেই। আমার নিজের দেশের উন্নয়নটা আমার আগে দরকার। আমার দেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে আমি তাদের নিয়ে চলব। সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক মিনিটব্যাপী ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।

শান্তির সপক্ষে তার বলিষ্ঠ অবস্থানের পুনরুল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব সময় শান্তি চাই। আমরা যুদ্ধ চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। আর সেই বন্ধুত্ব রেখেই এগিয়ে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সামনে কিন্তু অনেক কাজ। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আর তোমরাই হবে সেই স্মার্ট বাংলাদেশের মূল সৈনিক এবং তোমরাই এ দেশকে গড়বে। কারণ তোমরা ইতিহাসটাকে যেভাবে তুলে ধরেছ তাতে সত্যিই আমি চোখের পানি রাখতে পারিনি। তিনি অংশগ্রহণকারীদের অনেক দোয়া ও অভিনন্দন জানিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, আমি মনে করি আর এই বাংলাদেশকে কেউই পেছনে টানতে পারবে না। ১৫ আগস্টের পর যেভাবে আমাদের ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত করা হয়েছিল, আর যেন কেউ এটা করতে না পারে সেজন্য আমাদের সব সময় সজাগ থাকতে হবে। দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন যুগ হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ। জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগ। কাজেই ছেলেমেয়েদের এটাই বলব-লেখাপড়া ও জ্ঞানার্জন ছাড়া নিজেদের যেমন তৈরি করতে পারবে না, দেশকেও তৈরি করতে পারবে না।

’৯৬ সালে প্রথমবার সরকার গঠনের পর কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এবং বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়ে মোবাইল ফোন ও তথ্যপ্রযুক্তিকে জনগণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, সেখান থেকে আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। দ্বিতীয়টার জন্য প্রস্তুতি চলছে। কেননা একটি স্যাটেলাইটের মেয়াদ থাকে ১৫ বছর। তিনি বলেন, যদিও আমি শুনি অনেকে বলে এই স্যাটেলাইটের কী দরকার ছিল! আমাদের বাংলাদেশের কিছু মানুষ রয়েছে যাদের সবকিছুতেই ‘কিছু ভালো লাগে না’। এই কিছু ভালো লাগে না গ্রুপের আরও বক্তব্য হচ্ছে মেট্রোরেল, এটার কী দরকার ছিল? এক্সপ্রেসওয়ে করা শুধু শুধু পয়সা নষ্ট-এ রকম লোকজন নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে সব সময় চললেও এসবের সুবিধাগুলো আবার ঠিকমতোই নিজেরা ভোগ করে।

 

 

করোনাকালীন প্রয়োজন পড়ায় প্রধানমন্ত্রী এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা নিজেরাও নিজেদের গৃহস্থালি কাজ সামলেছেন উল্লেখ করে বলেন, আমরা কিন্তু নিজেরাই নিজেদের কাজ করেছি এবং কাজ করতে আমরা কখনোই লজ্জাবোধ করি না। নিজের কাজটা নিজে করাটাই সব থেকে সম্মানের এবং অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা আমাদের কমাতে হবে।

তিনি ভিডিওচিত্র নির্মাণ ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার আয়োজনে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটা আমি মনে করি আমাদের ছোট্ট শিশুদের ভেতরে একটি আদর্শ (জাতির পিতার) এবং স্বাধীন বাংলাদেশের চেতনা গড়ে উঠবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের মধ্যে সনদপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেন।