আস্থার প্রতিদান দেবেন, নতুন প্রতিমন্ত্রীদের আশ্বাস
প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২৪
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীরা বেশ উচ্ছ্বসিত। প্রধানমন্ত্রীর এই আস্থার প্রতিদান কাজে দিতে চান তারা।
শুক্রবার বঙ্গভবনে নতুন ৭ প্রতিমন্ত্রী শপথ নিয়েই মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। বেশিরভাগেই বলেছেন, এই দায়িত্বে নতুন হলেও মন্ত্রণালয়ের কাজ কীভাবে চলে সেই বিষয়টি নিয়ে তাদের ধারণা আছে।
শ্রম ও কর্ম সংস্থান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “আমি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমি কারো মুখের দিকে তাকাব না, দেশের মানুষের কল্যাণে যা যা করতে হয় করব।”
যখন এই বক্তব্য রাখছিলেন, তখনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাননি নজরুল। সে সময় তিনি বলেন, “আমাকে শ্রম ও কর্মসংস্থানের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সম্ভবত। সে ক্ষেত্রে আমার কিছু অভিজ্ঞতা আছে। আমি পাঁচ বছর স্থায়ী কমিটিতে ছিলাম। এখানে ৩০ সালের মধ্যে তিন কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা আছে, এই প্রজেক্টটা খুবই জরুরি, এ ব্যাপারে কাজ করতে হবে।”
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া নাহিদ ইজাহার খান বলেন, “সংসদে এবার আমি দ্বিতীয়বার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার উপরে আস্থাটা রেখেছেন এবং আমাকে নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য দিয়েছেন। সেটা আমি শতভাগ পূর্ণ করতে চেষ্টা করব।”
অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, “সংসদে বিভিন্ন দায়িত্ব আমি গত ১০ বছর ধরে পালন করছি। দশম ও একাদশ সংসদেও ছিলাম। একাদশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সভাপতি ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বাদশ সংসদেও কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। আরও কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।
“এখন যে চ্যালেঞ্জই থাকুক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশনা পাব এবং অনেক বিজ্ঞ লোকজন সঙ্গে থাকবেন, উনাদের নির্দেশনায় কাজ করতে পারব। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করব।”
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দায়িত্ব পাওয়া আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, “নিশ্চয়ই এটা আমার জন্য সৌভাগ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থা আমি রাখব, সর্বোচ্চ আনুগত্য দেখিয়ে কাজ করব।”
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া সামসুন্নাহার চাঁপা বলেন, “এটা খুবই ভালো লাগার বিষয়। আমি নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করে যাব। আমি ব্যক্তিগতভাবে কাজ খুব পছন্দ করি।”
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে তাদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য, সংসদ সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।