নীল গেঞ্জি পরা পুলিশ কনষ্টেবল রতনের মাজায় ওয়ারলেস,পুলিশ লেখা ইউনিফর্মে ভুয়া পুলিশ জীবন ও পেছনে লাল গেঞ্জিপরা ভুয়া পুলিশ সবুজ। মাঝেঁ হাতকড়া পরা অবস্থায় বিপ্লব।
রাজশাহী মহানগরীর পবা থানার কনষ্টেবল রতন হোসেনের বিরুদ্ধে এক আলু ব্যবসায়ীকে মেয়ে ও হোরোইন দিয়ে ফাঁসিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী আলু ব্যবসায়রি নাম বিপ্লব। তিনি এয়ারপোর্ট থানা বারুইপাড়া এলাকার ইসলাম হাজীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ কনষ্টেবল রতনকে পবা থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হলেও তার সাথে থাকা তিনজন ভুয়া পুলিশের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এমনকি ঘটনার ৭দিনেও তাদের অভিযানে রতনের ব্যবহৃত ওয়্যারলেস সেট,হ্যানকাপ,পুলিশ লেখা ইউনিফর্মের পুলিশ জ্যাকেট ও আলু ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে ব্যবহৃত হেরোইন এর খোঁজ মেলেনি।
জানা যায়,গত ২৪জুলাই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর ১৬ নং ওয়ার্ড বোয়ালিয়া মডেল থানা এলাকার কয়েরদ্বারা পুরাতন মসজিদের পেছনে মনোয়ারার ভাড়াটিয়া বিলকিসের বাসায় স নামের এক বান্ধবী নিয়ে বেরাতে যান আলু ব্যবসায়ী বিপ্লব।
এ সময় পবা থানার কনষ্টেবল রতন হোসেন,মোহনপুর থানার বসন্তকেদার এলাকার গোলাম মতূজার ছেলে সবুজ,একই এলাকার স্কুল শিক্ষিকা সম্পার স্বামী জীবন ও তার ভাই সান্ত মনোয়ারার বাসায় সকলে পুলিশ সদস্য পরিচয়ে অভিযান চালায়।
অভিযানে জীবন (পুলিশ লেখা ইউনিফর্মের পুলিশ জ্যাকেট পরা) তার পকেট থেকে হাতকড়া বের করে আলু ব্যবসায়ী বিপ্লবকে পরিয়েদেয়।
এক পর্যায়ে বিপ্লবকে ছাড়তে তার কাছে চাওয়া হয় ২৫,০০০,০০/ পচিশ লক্ষ টাকা। আলু ব্যবসায়ী বিপ্লব টাকা দিকে অস্বিকার করায় কনষ্টেবল রতনের কথায় জীবনের ব্যাগে থাকা ১০০/ একশত গ্রাম হেরোইনের একটি প্যাকেট বের করে আলু ব্যবসায়ী বিপ্লবের হাতে ধরিয়ে ছবি তুলে ।
এসময় কনষ্টেবল রতন পবা থানার এসআই সোহাগের সাথে মোবাইলে কথা বলে তার নির্দেশে পবা থানায় নেয়ার জন্য বিপ্লবকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় কনষ্টেবল রতনের মটরসাইকেলে পুলিশ পরিচয় দেয়া সবুজ নামে আরেক ব্যাক্তিকে নিয়ে পবা থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
আর তাদের সাথে থাকা অন্য দুইজন পুলিশ পরিচয় দেয়া জীবন ও শান্ত অন্য দুইটি মটর সাইকেল যোগে পবা থানার দিকে রওনা হন। এ সময় কনষ্টেবল রতনের মটরসাইকেল এয়ারপোর্ট থানা পার হয়ে বায়া মোড়ের কাছে পৌছালে আটক আলু ব্যবসায়ী বিপ্লব মটরসাইকেলের পেছনে থানা সবুজকে ধাক্কা দিলে তিনজনই মটরসাইকেল থেকে পরে যায়।
এসময় বিপ্লব ভুয়া পুলিশ আমাকে নিয়ে যাচ্ছে বলে চিল্লা চিল্লি করলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে।জানতে পেরে পবা থানার এস আই সোহাগ এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের সহযোগীতায় তাদের সেখানথেকে উদ্ধার করে পবা থানায় নিয়ে আসে।এ সময় আলু ব্যবসায়ী বিপ্লবকে হাজত খানায় রাখা হলেও এমন অভিযানে ব্যবহৃত ওয়্যারলেস সেট,
হাতকড়া,পুলিশ লেখা ইউনিফর্মের পুলিশ জ্যাকেটটি বিষয়ে কিছু জানেনা পবা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সোহরাওয়ার্দী হোসেন।
পবা থানার এস আই সোহাগ জানান,ঘটনারদিন আমাকে ফোনকরে কনষ্টেবল রতন বলেন বোয়ালিয়া মডেল থানা এলাকা থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ একজনকে আটক করেছে বললে রনতকে আসামী নিয়ে থানায় আসতে বলি।
এ সময় বায়াতে একটা ছোট ঘটনা ঘটলে আমি এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের সহযোগীতায় কনষ্টেবল রতন,আসামী আলু ব্যবসায়ী বিপ্লব ও সবুজকে উদ্ধার করে পবা থানায় নিয়ে আসি। এর পরে কি হয়েছে তা আমি জানি না।
পবা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সোহরাওয়ার্দী হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ঘটনার দিন বুধবার এমন ঘটনার জন্য কনষ্টেবল রতনকে পবা থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ওয়্যারলেস,হ্যানকাপ,পুলিশ লেখা ইউনিফর্মের পুলিশ জ্যাকেট ও হেরোইন এর বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ ছাড়ও ারা তার সাথে সম্পক্ত ছিলো তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। তাদের আটক করলে সব বিষয়ে পরিস্কার হওয়া যাবে। রতন কনষ্টেবলের বিষয়ে আমি অফিসিয়াল ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিউজ করার কি দরকার বলে জানান তিনি।
পুলিশ কনকনষ্টেবল রতনের কোমরে ওয়ারলেস,পুলিশের সোর্সের গায়ে পুলিশ লেখা ইউনিফর্মের পুলিশ জ্যাকেট,
পকেটে হাতকড়া ও হেরোইন ঘটনায় পুলিশ কনষ্টেবল রতন,পুলিশের সোর্স জীবন,সবুজ ও শান্তর সাথে পবা থানাসহ কোন কোন থানার পুলিশ সদস্যরা এমন অভিযানে জড়ীত তাদের বিষয়ে নিউজ নিয়ে আসছি আগামী পর্বে।
প্রকাশক : মাসুদ রানা সুইট । সম্পাদক : আবুল হাসনাত অমি । নগর সম্পাদক : ইফতেখার আলম বিশাল নির্বাহী সম্পাদক : রুবেল আহম্মেদ । মফস্বল সম্পাদক : মোস্তাফিজুর রহমান । ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নীলা সুলতানা । বার্তা সম্পাদক : -------------- । সহ-বার্তা সম্পাদক : আলিফ বিন রেজা । সহ-বার্তা সম্পাদক :
Copyright © 2024 Dainiksopnerbangladesh.com. All rights reserved.