বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে অবস্থিত কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়ন। কয়েক বছর আগেও এই অঞ্চলের মানুষজন অভ্যস্ত ছিল দারিদ্র্যক্লিষ্ট জীবনযাপনে। অবস্থানগত কারণে মাতারবাড়ী ঘিরে সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নিয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটির কাজ শেষে অপারেশন শুরু হয়েছে। কিছু শেষের পথে এবং কিছু প্রকল্পের কাজ চলছে। ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে চীন-জাপানের কাছে কৌশলগত দিক থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ স্থান মহেশখালীর মাতারবাড়ী। মহেশখালী ঘিরে যে কর্মযজ্ঞ তার সুবিধা পাবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত দক্ষিণ-পূর্বের সাত রাজ্যও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাদের মতে, মাতারবাড়ী ক্রমেই হয়ে উঠছে দেশের অর্থনীতির জন্য একটি গেম চেঞ্জার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরকে ঘিরে তৈরি হতে যাচ্ছে বাণিজ্যিক হাব। বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ১২ শ মেগাওয়াটের মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ আর মহেশখালীর সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহকৃত গ্যাস। এর সঙ্গে গভীর সমুদ্রে ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষে এখন এটি কমিশনিং পর্যায়ে আছে। এতে গোটা অঞ্চলটি এক বিশাল পাওয়ার হাবে রূপ নিয়েছে। আবার দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর মাতারবাড়ি টার্মিনালের নির্মাণ ২০২৬-এ শেষ হলে ট্রানজিট ভোগান্তি ছাড়াই ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরাসরি পণ্য পরিবহনের সুযোগ পাবেন দেশের ব্যবসায়ীরা।