স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্র থেকে জানা গেছে, সাইদুল ইসলাম সোনা চোরাচালান, হুন্ডি ,অস্ত্র ব্যবসা,মানুষের জায়গা জমি দখল,দালালী, ইয়াবাসহ সিলেট বিভাগের অবৈধ ব্যবসার নিয়ন্ত্রক। একজনপ্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় বিগত সরকারের আমলে হাজারও অপকর্ম করলে সে এখনো আইনের ধরা ছোয়ার বাহিরে। সাইদুলের বিরুদ্ধে সিলেটের বিভিন্ন থানায় মামলা থাকলেও এগুলো তোয়াক্কা করে না প্রকাশ্যে সোশাল মিডিয়ায় সরব থাকার অভিযোগ রয়েছে। প্রায় সময় এলাকায় হাট বাজারে প্রকাশ্যে ঘুরা ফেরা করতেও দেখা যায়।
সূত্র জানায়, সাইদুলের সাথে স্থানীয় আওয়ামীলীগের হেভি ওয়েট নেতা কর্মিদের সাথে রয়েছে ব্যবসায়িক লেনদেন অসংখ্য ছবি। বিগত সরকারের সাবেক কেন্দ্রিয় এক ছাত্র নেতার সহযোগিতা ও সাবেক এক মন্ত্রীর সাথে তার সখ্যতাদের কারনে দিন-দিন সে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয়দের অভিয়োগ। জানা যায়,বড়লেখা বাজারে বিশাল শপিং মার্কেট মালিক এবং ফ্রান্স, ডুবাই, এ তার নামে বেনামে রয়েছে শত-শত কোটি টাকার সম্পত্তি।
সূত্র জানায়, সাবেক আলোচিত আইজিপি বেনজীরসহ অর্ধশতাধিক সরকারী কর্মকর্তাদের অবৈধ ভাবে উপার্জিত টাকা আরব আমিরাত, কাতার, লন্ডন, সৌদি আরব, কানাডা ও ফ্রান্সে নিজে গিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে পুঁজি বিনিয়োগ করেছে। কালো টাকা কে সাদা করা হতো। সাইদুলের দেশে-বিদেশে রয়েছে অসংখ্য ব্যাংকে টাকা থাকার খবর উঠেছে। সেই সুবাদে তিনি ডুবাই,লন্ডন ও ইউরোপে করছে অবাদে যাতায়াত।
সূত্র থেকে জানা যায়, সাবেক আইজিপি বেনজীরের মোটা অংকের টাকা সাইদুল ডলার বানিয়ে দিতে সহায়তা করতেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সে কারনে পুলিশের হাত ছিলো তার মাথায়। তার রয়েছে পুলিশের ব্যবহৃত ওয়াকিটকি ও অবৈধ অস্ত্র। সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় বাসা- বাড়ীতে ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় তার অবৈধ মালামাল রয়েছে বলে জানা গেছে। সাইদুলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা থাকলেও সে আওয়ামী লীগের পুলিশ বাহিনীর মদদে বিগত সরকারের আমলে ছিল একেবারে ধরাছোঁয়ার বাইরে। সাইদুলের পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, সাইদুল বর্তমানে সিলেট শহরে অবস্থান করছে এবং তার আহত ভাইকে হাসপাতালে চিকিৎসার খোঁজ খবর নিচ্ছে। এছাড়া জানা গেছে, সে বিদেশে পাড়ি জমানোর পায়তারা করছেন। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলেও সে রয়েছে নিরাপদে চলে যায়।