Dhaka 3:11 pm, Saturday, 21 December 2024
বেকিং নিউজ :
Logo হোমনাকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ Logo Kometa Casino Live Casino 💰 Get 200% up to INR 10 000 INR 💰 180 Free Spins Logo কুমিল্লার দেবিদ্বার বিহার মন্ডল এলাকায় বিএনপি’র কর্মী সভা অনুষ্ঠিত Logo মোহনপুরে এবার দেড় লাখ টন আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা Logo চৌদ্দগ্রামে ডলবা গ্রাম কমিটি গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo বিচারবিভাগের রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুণঃপ্রবর্তনের সুযোগ এসেছে – কুমিল্লায় হাবিব উন নবী সোহেল Logo আবাসিক হোটেল থেকে ৫ তরুণ ও ৩ তরুণী গ্রেফতার  Logo কুমিল্লায় কাপড়ের ব‍্যাগে গাঁজা পাচারকালে আটক দুই নারী Logo ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৪ Logo মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৯ নং ওয়ার্ডে দিনব্যাপী ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

অন্য ভাষা শিখলেও শিক্ষার মাধ্যম হতে হবে মাতৃভাষা: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের মাতৃভাষা সংরক্ষণ, চর্চা ও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে যথাযথ অনুবাদের মাধ্যমে বাংলা শিল্প-সাহিত্যকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাঙালি জাতি যে নিজের ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে তা তুলে ধরা আমাদের সবার কর্তব্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্য আরও ভাষা শিখলেও শিক্ষার মাধ্যম মাতৃভাষা হতে হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী বুধবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের শিল্পকলা, সাহিত্য সব অনুবাদ করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে বাঙালি জাতি যে ভাষার জন্য নিজের জীবন দিয়ে গেছেন সেটা মানুষের সামনে তুলে ধরা আমাদের সবার কর্তব্য। আর এই ইনস্টিটিউট থেকে আমি সেটাই আশা করি।

সরকারপ্রধান বাংলা একাডেমি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে একসঙ্গে এবং একে অপরের পরিপূরক-সম্পূরক হিসাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করি তখন এটাই আমাদের মাথায় ছিল। এই দুটি প্রতিষ্ঠান যদি একসঙ্গে কাজ করে তাহলে আমরা আরও অধিক পরিমাণে শিল্প, সাহিত্য, কলাসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারব এবং সেটাই তার সরকারের প্রত্যাশা। প্রধানমন্ত্রী প্রযুক্তির সঙ্গে তালমিলিয়ে ভাষাকে এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে ডিজিটাল ডিভাইসের সাহায্যে অনুবাদ করলেও তা যথাযথ সংশোধনের মাধ্যমে যথোপযোগী করে ব্যবহারের আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে বাংলায় বক্তৃতা দিয়ে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে আসেন। যে পদাংক অনুসরণ করে তিনি নিজেও জাতিসংঘে (সাধারণ অধিবেশন) তার প্রতিটি বক্তৃতা বাংলায় করেছেন, যেটা অনুবাদ করেই অন্যান্য ভাষায় দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, শুধু ভাষণের মধ্যেই নয় বাঙালিকেও মানুষ জানুক, বিশ্ব আরও জানুক। আমরা যে বিজয়ী জাতি, আমাদের একটি ভাষা আছে, সংস্কৃতি আছে সেটাও সারা বিশ্ব জানুক, সেটাই আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী এই সময় ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে জাতির পিতা প্রদত্ত ভাষণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের উদ্ধৃতি তুলে ধরেন। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সব মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের উপযোগী একটি বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য বাঙালি জাতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী। স্বাগত বক্তৃতা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি এবং অফিস প্রধান সুজান ভাইজও বক্তব্য রাখেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শিশির ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ‘মুজিব শতবর্ষ জাদুঘর এবং আর্কাইভ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় রচিত জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং মাতৃভাষা পিডিয়া এবং মাল্টিলিঙ্গুয়াল পকেট ডিকশনারির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্য আরও ভাষা শিখলেও শিক্ষার মাধ্যম মাতৃভাষা হতে হবে। যেহেতু আমরা সংগ্রাম করে মাতৃভাষার মর্যাদা অর্জন করেছি। এজন্য ছোটবেলা থেকেই একাধিক ভাষা শিক্ষার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলা বলার আগে ইংরেজি বলার যে একটা ঝোঁক ছিল তারও কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ইংরেজি বাচনভঙ্গিতে বাংলা বললে ভাষার মাধুর্য হারিয়ে যায়। শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃভাষার পাশাপাশি আর একটি দু’টি ভাষা যেন ছোটবেলা থেকে শিখতে পারে সেজন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে তারা আত্মবিশ্বাসী হয় উঠবে এবং সে শিক্ষা হবে প্রকৃত জ্ঞানার্জনের জন্য শিক্ষা।

বক্তৃতার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ভাষা আন্দোলন সংঘটনের অন্যতম রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে প্রকৃতপক্ষে আমাদের ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত। যা ’৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি রক্ত দিয়ে রক্তের অক্ষরে আমাদের শহিদরা বলে গিয়েছিলেন-মায়ের ভাষায় কথা বলতে চাই। আর এই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার আইন বিভাগের ছাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উদ্যোগ নেন। তিনি সংগঠন গড়ে তোলেন, ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সে সময় তমদ্দুন মজলিস এবং অন্যান্য আরও কয়েকটি প্রগতিশীল সংগঠনকে নিয়েই ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

হোমনাকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

অন্য ভাষা শিখলেও শিক্ষার মাধ্যম হতে হবে মাতৃভাষা: প্রধানমন্ত্রী

আপলোড সময় : 06:34:14 pm, Friday, 23 February 2024

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের মাতৃভাষা সংরক্ষণ, চর্চা ও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে যথাযথ অনুবাদের মাধ্যমে বাংলা শিল্প-সাহিত্যকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাঙালি জাতি যে নিজের ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে তা তুলে ধরা আমাদের সবার কর্তব্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্য আরও ভাষা শিখলেও শিক্ষার মাধ্যম মাতৃভাষা হতে হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী বুধবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের শিল্পকলা, সাহিত্য সব অনুবাদ করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে বাঙালি জাতি যে ভাষার জন্য নিজের জীবন দিয়ে গেছেন সেটা মানুষের সামনে তুলে ধরা আমাদের সবার কর্তব্য। আর এই ইনস্টিটিউট থেকে আমি সেটাই আশা করি।

সরকারপ্রধান বাংলা একাডেমি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে একসঙ্গে এবং একে অপরের পরিপূরক-সম্পূরক হিসাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করি তখন এটাই আমাদের মাথায় ছিল। এই দুটি প্রতিষ্ঠান যদি একসঙ্গে কাজ করে তাহলে আমরা আরও অধিক পরিমাণে শিল্প, সাহিত্য, কলাসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারব এবং সেটাই তার সরকারের প্রত্যাশা। প্রধানমন্ত্রী প্রযুক্তির সঙ্গে তালমিলিয়ে ভাষাকে এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে ডিজিটাল ডিভাইসের সাহায্যে অনুবাদ করলেও তা যথাযথ সংশোধনের মাধ্যমে যথোপযোগী করে ব্যবহারের আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে বাংলায় বক্তৃতা দিয়ে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে আসেন। যে পদাংক অনুসরণ করে তিনি নিজেও জাতিসংঘে (সাধারণ অধিবেশন) তার প্রতিটি বক্তৃতা বাংলায় করেছেন, যেটা অনুবাদ করেই অন্যান্য ভাষায় দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, শুধু ভাষণের মধ্যেই নয় বাঙালিকেও মানুষ জানুক, বিশ্ব আরও জানুক। আমরা যে বিজয়ী জাতি, আমাদের একটি ভাষা আছে, সংস্কৃতি আছে সেটাও সারা বিশ্ব জানুক, সেটাই আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী এই সময় ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে জাতির পিতা প্রদত্ত ভাষণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের উদ্ধৃতি তুলে ধরেন। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সব মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের উপযোগী একটি বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য বাঙালি জাতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী। স্বাগত বক্তৃতা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি এবং অফিস প্রধান সুজান ভাইজও বক্তব্য রাখেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শিশির ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ‘মুজিব শতবর্ষ জাদুঘর এবং আর্কাইভ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় রচিত জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং মাতৃভাষা পিডিয়া এবং মাল্টিলিঙ্গুয়াল পকেট ডিকশনারির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্য আরও ভাষা শিখলেও শিক্ষার মাধ্যম মাতৃভাষা হতে হবে। যেহেতু আমরা সংগ্রাম করে মাতৃভাষার মর্যাদা অর্জন করেছি। এজন্য ছোটবেলা থেকেই একাধিক ভাষা শিক্ষার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলা বলার আগে ইংরেজি বলার যে একটা ঝোঁক ছিল তারও কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ইংরেজি বাচনভঙ্গিতে বাংলা বললে ভাষার মাধুর্য হারিয়ে যায়। শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃভাষার পাশাপাশি আর একটি দু’টি ভাষা যেন ছোটবেলা থেকে শিখতে পারে সেজন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে তারা আত্মবিশ্বাসী হয় উঠবে এবং সে শিক্ষা হবে প্রকৃত জ্ঞানার্জনের জন্য শিক্ষা।

বক্তৃতার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ভাষা আন্দোলন সংঘটনের অন্যতম রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে প্রকৃতপক্ষে আমাদের ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত। যা ’৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি রক্ত দিয়ে রক্তের অক্ষরে আমাদের শহিদরা বলে গিয়েছিলেন-মায়ের ভাষায় কথা বলতে চাই। আর এই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার আইন বিভাগের ছাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উদ্যোগ নেন। তিনি সংগঠন গড়ে তোলেন, ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সে সময় তমদ্দুন মজলিস এবং অন্যান্য আরও কয়েকটি প্রগতিশীল সংগঠনকে নিয়েই ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।