নওগাঁর মান্দায় লীজকৃত একটি পুকুরের দখলে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল জলিল। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক, সাবেক এমপি পুত্র ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে তিনি ওই পুকুরটির দখল থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। এতে চরমভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন তিনি।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা যুবদলের ব্যানারে যুবদলনেতা আব্দুল জলিলের ব্যক্তিগত চেম্বারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে যুবদলনেতা আব্দুল জলিল বলেন, ২০০৮ সালে উপজেলার কালিগ্রাম মৌজায় ৬ দশমিক ২৭ একর আয়তনের একটি পুকুর ৩০ বছরের জন্য লীজ গ্রহণ করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালিন এমপি ইমাজ উদ্দিনের প্রামাণিকের পুত্র সুজাউদ্দৌলা প্রামাণিক বিপ্লব পুকুরটি জোরপূর্বক দখল করে নেয়।
যুবদলনেতা আব্দুল জলিল আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুকুরটি উদ্ধারের জন্য গত ২৫ আগস্ট আমি সেনাক্যাম্পে অভিযোগ দাখল কর এর পর পুকুরটি দখলে নিয়ে মাছচাষের উপযোগী করা হয়। গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) পুকুরটিতে মাছ শিকার করছে এমন সংবাদে আমি সেখানে গেলে স্থানীয় কতিপয় লোকজনের হুমকির মুখে চলে আসতে বাধ্য হই।’
যুবদলনেতা আব্দুল জলিল অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান, সাবেক এমপি পুত্র সুজাউদ্দৌলা প্রামাণিক বিপ্লব ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজু আহমেদ এর ইন্ধনে আওয়ামমীপন্থী লোকজনকে লেলিয়ে দেওয়া হয়। এতে আমি পুকুরের যেতে পারছি না। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক নুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক সাদেকুল ইসলাম, জুয়েল রানা ও ওবাইদুল হক, সদস্য তানভির হোসেন, সাব্বির আহমেদ, মামুনুর রশিদ, আলাউদ্দিন হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা
বিএনপির আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী বলেন, ‘ওই পুকুরটি সর্ম্পকে আমার কিছুই জানা নেই। ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল জলিল দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করেছে এটা কখনোই কাম্য নয়। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।