Dhaka 12:41 am, Monday, 23 December 2024

রিমান্ড শেষ না হতেই দুই পুলিশ সদস্যকে কারাগারে প্রেরণ

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি দুই পুলিশ সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রকে আদালতে আনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের কাছে পিবিআই রিমান্ডের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। নতুন করে পিবিআই রিমান্ড আবেদন না করায় আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রিমান্ডের মেয়াদপূর্তির আগেই আসামিদের আদালতে উপস্থাপন, পুলিশ কর্মকর্তারা আসামি হলেও স্বপদে বহাল থাকা, নতুন করে কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া, নতুন করে রিমান্ড না নেওয়ায় পিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বাদী পক্ষের আইনজীবীরা। সেই সঙ্গে সঠিক বিচার না পাওয়ারও শংঙ্কা প্রকাশ করেছেন া।ো্ট ইন্সপেক্টর পৃথিশ কুমার সরকার বলেন, রিমান্ড শেষে আবু সাঈদ হত্যা মামলার দুই আসামিকে আজ আদালতে তোলা হয়েছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আদালত সেই প্রতিবেদন দেখে আসামিদের জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। নতুন করে পিবিআই রিমান্ড আবেদন করেনি।বাদীপক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান রায়হান বলেন, আদালতে আসামিদের উপস্থাপনের দিনে এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে চেয়েছিল। পিবিআই সেই সময় আদালতের কাছে তাদের পাঁচ দিন রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তদন্তকারী সংস্থা রিমান্ডের তৃতীয় দিনেই আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করেছে এবং বলেছে আসামিরা অসুস্থ। আদালতে আসামিরা কোনো স্বীকারোক্তি দেননি। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তে অবহেলা ও খামখেয়ালি করছেন। সেই সঙ্গে সঠিক বিচার নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, এই মামলার আসামি সবাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মামলা ফাইলের দিনে বিজ্ঞ আদালত নির্দেশনা দিয়েছিল, মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পুলিশের সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এখনও স্বপদে বহাল থাকায় তারা মামলাকে প্রভাবিত করতে পারে। রোববারের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা পুনরায় রিমান্ড না চাইলে আমরা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিবর্তন চাইবো।

বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, দুই আসামি যাদের নির্দেশে গুলি চালিয়েছে, তাদের পেছনে পুলিশের কোন কোন কর্মকর্তা ছিল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে বলেছে তারা রিমান্ডে আসামিদের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখছেন। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে রিমান্ড চাইবেন।প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর পিবিআই দুই পুলিশ সদস্যের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

জিএমআরএ

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

রিমান্ড শেষ না হতেই দুই পুলিশ সদস্যকে কারাগারে প্রেরণ

আপলোড সময় : 09:40:18 pm, Thursday, 12 September 2024

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি দুই পুলিশ সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রকে আদালতে আনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের কাছে পিবিআই রিমান্ডের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। নতুন করে পিবিআই রিমান্ড আবেদন না করায় আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রিমান্ডের মেয়াদপূর্তির আগেই আসামিদের আদালতে উপস্থাপন, পুলিশ কর্মকর্তারা আসামি হলেও স্বপদে বহাল থাকা, নতুন করে কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া, নতুন করে রিমান্ড না নেওয়ায় পিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বাদী পক্ষের আইনজীবীরা। সেই সঙ্গে সঠিক বিচার না পাওয়ারও শংঙ্কা প্রকাশ করেছেন া।ো্ট ইন্সপেক্টর পৃথিশ কুমার সরকার বলেন, রিমান্ড শেষে আবু সাঈদ হত্যা মামলার দুই আসামিকে আজ আদালতে তোলা হয়েছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আদালত সেই প্রতিবেদন দেখে আসামিদের জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। নতুন করে পিবিআই রিমান্ড আবেদন করেনি।বাদীপক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান রায়হান বলেন, আদালতে আসামিদের উপস্থাপনের দিনে এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে চেয়েছিল। পিবিআই সেই সময় আদালতের কাছে তাদের পাঁচ দিন রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তদন্তকারী সংস্থা রিমান্ডের তৃতীয় দিনেই আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করেছে এবং বলেছে আসামিরা অসুস্থ। আদালতে আসামিরা কোনো স্বীকারোক্তি দেননি। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তে অবহেলা ও খামখেয়ালি করছেন। সেই সঙ্গে সঠিক বিচার নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, এই মামলার আসামি সবাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মামলা ফাইলের দিনে বিজ্ঞ আদালত নির্দেশনা দিয়েছিল, মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পুলিশের সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এখনও স্বপদে বহাল থাকায় তারা মামলাকে প্রভাবিত করতে পারে। রোববারের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা পুনরায় রিমান্ড না চাইলে আমরা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিবর্তন চাইবো।

বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, দুই আসামি যাদের নির্দেশে গুলি চালিয়েছে, তাদের পেছনে পুলিশের কোন কোন কর্মকর্তা ছিল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে বলেছে তারা রিমান্ডে আসামিদের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখছেন। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে রিমান্ড চাইবেন।প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর পিবিআই দুই পুলিশ সদস্যের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

জিএমআরএ