নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর মোহনপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে তদন্ত পূর্বক তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসির পক্ষে জাহাঙ্গীর আলম শাহ (রুপুল)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর মোহনপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান তৎকালীন সরকারি দলের (আওয়ামী লীগ) সদস্য হওয়ার কারণে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কলেজের গর্ভনিংবডির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের প্রভাবিত করে গত ২২ সালের ২৮ জুলাই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি একই সঙ্গে অত্র উপজেলার ০৫ নং বাকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত (বর্তমান) চেয়ারম্যান। একই ব্যক্তি দুই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকার কারণে তিনি নিয়মিত কলেজে উপস্থিত থাকতে পারেন না বা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এমতাবস্থায় েজের দানের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে এবং ছাত্রীদের শিক্ষার অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক মোহনপুর শাখায় কলেজের শিরোনামে এফ.ডি.আর হিসাব খোলা ছিলো। যার পরিমান বেড়ে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা হয়েছিল। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরপরই তিনি গর্ভনিংবডির সভাপতির সঙ্গে যোগ সাজস করে উক্ত এফ.ডি. আর ভেঙ্গে সাড়ে ৪ লাখ টাকা উত্তোলন করেন এবং কলেজের কাজে ব্যায় না করে নিজেই তা আত্নসাৎ করেন। এসময় এফ.ডি.আর ভাঙ্গানোর জন্য যে রেজুলেশ করা হয় তাতে গর্ভনিংবডির সভাপতি ছাড়া অন্যান্য সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এছাড়া কলেজের শিরোনামে অগ্রণী ব্যাংক রায়ঘাটি শাখা মোহনপুর রাজশাহীতে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা আছে, হিসাবের মাধ্যমে ছাত্রীদের উপবৃত্তির ভূর্তুকীর টাকা উত্তোলন করা যায়। হিসাব হতে ভর্তুকি টাকা উত্তোলন করে কলেজের কাজে ব্যায় না করে আত্নসাৎ করেন। কলেজের একটি পুরাতন টিনসেট ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং ঐ ভবনে প্লেনসিটের ৪টি দরজা খুলে কলেজের ভবনের বারান্দায় রাখা ছিল। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ হাজার টাকা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাউকে না জানিয়ে রাতে অন্ধকারে তা বিক্রি করে দেয় এবং সেই টাকা কলেজের কাজে ব্যয় না করে নিজেই আত্নসাৎ করেন।
এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।