সেবাই পরম ধর্ম এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া নার্সিং কলেজ কুমিল্লার নবীন বরণ,বিদায় সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৪ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ)সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও সাবেক সেনা অফিসার মেজর তাহমিনা ইসরাত খানমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, অনুষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রান ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আমির-উর-রশিদ ইয়াসিন।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাহমিদা মোস্তফা।
প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভিক্টোরিয়া নার্সিং কলেজ কুমিল্লা এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ডাঃ আনিস মালেক, প্রধান বক্তা কুমিল্লার সাবেক ডিপুটি সিভিল সার্জন এবং বি.বাড়িয়া-ম্যাটস,
কুমিল্লার অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক এবং বিশিষ্ঠ সমাজসেবক মোঃ শওকত আলী (বকুল), ভিক্টোরিয়া নার্সিং কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক, কুমিল্লা আইএইচটি এন্ড ম্যাটস এর শিক্ষক ও চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার,
কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ যুবদলের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক
এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া মঞ্চ কমিটির আনোয়ার হোসেন, শিক্ষকমন্ডলী, অফিস কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীা।
এসময় নবীনদের বরণ করে নেয়া এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্নপ্রত্যয় এবং সম্মানবোধ সৃষ্টি করে।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরন করা হয়। পরে বিএসসি ইন নার্সিং (বেসিক) কোর্সের ৪র্থ ব্যাচ, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং, সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের ৫ম ব্যাচ এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সের ২য় ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।৩য় বর্ষের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
২য় পর্বে ছিল মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরষ্কার বিতরনী।
সর্বশেষে সভাপতির বক্তৃতার মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠান সমাপনী ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,
পরম মমতার স্পর্শে রোগীকে সেবা দিয়ে সুস্থ্য করার কাজটি করেন নার্সদের। মৃত্যু পথযাত্রী রোগীদের আশার আলো জাগান তারা। জীবনবাজি রেখে রোগীদের মুখের হাসিতেই পরিতৃপ্ত হন সেবিকারা। একজন চিকিৎসক চিকিৎসা দেয় আর একজন নার্স সেবা দিয়ে রোগীকে সুস্থ্য হয়ে ওঠার সাহস যেগায়।জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীরাও নার্সদের পরম মমতার সাক্ষ্য দিচ্ছেন।নার্সরা অত্যন্ত অমায়ীক এবং ধৈর্যশীল তাদের সেবার মানসিকতার কারণেই রোগী অনেকটাই সুস্থ্য হয়ে যায়।