কুমিল্লার দেবিদ্বারে গত কয়েক দিন ধরে লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। গরম ও লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেকেই। পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা কম হওয়ায় তারা লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে পড়েছেন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের রোগীরা। বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ীদেরও ব্যবসায় চরম ব্যাঘাত ঘটছে।গরমে শিক্ষার্থীদের অবস্থা বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীদের অবস্থা আরও করুণ। কেউ কেউ সর্দি-জ্বরসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
আবদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, দেবিদ্বার পৌরসভায় বিদ্যুৎ যায় না মাঝে মধ্যে আসে।
স্থানীয় ব্যবসায়িরা বলছেন, এভাবে লোডশেডিং চলতে থাকলে ব্যবসায় লালবাতি জ্বলবে।
আবুল কাশেম বলেন,আমাদের এখানে কারেন্ট এখন আর যায় না, মাঝে মাঝে আসে।’আমাদের সমস্যার সমাধান চাই।
ওয়াহেদপুরের বাসিন্দা স্বপ্নাহার বেগম জানিয়েছেন, ভোর ৬ টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে গেছে। আর রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে বাচ্চারা ঘুমাতে পারেনি।
আলমগীর হোসেন জানান, কয়েক ঘণ্টা পরপরই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ যায় আর আসে। আমরা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছি।
দেবিদ্বার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক রেজাউল করিম খান জানান, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎয়ের বরাদ্দ কম হওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। তবে এই সমস্যা অচিরেই সমাধান হবে।