Dhaka 9:57 am, Monday, 23 December 2024

বাউফল বিএনপির সভাপতির অভিযোগ, সম্পাদক ‘চাঁদাবাজ’

পটুয়াখালীর বাউফলের সূর্যমণি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাহবুব জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, লুটপাট, বাস স্ট্যান্ড ও বালু মহল নিয়ন্ত্রণে নেওয়াসহ দলীয় নেতাদের হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার ওরফে মনির।

রোববার (৮সেপ্টম্বর) সকালে সূর্যমণি ইউনিয়নের গাবতলা বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মনিরুজ্জামান ওরফে মনির বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতনের পর সাধারন সম্পাদক মাহবুব জোমাদ্দার চাঁদাবাজি, হাট-ঘাট, বাস স্ট্যান্ড ও বালুমহল নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছেন। ইউনিয়নের নুরাইনপুর বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, সংখ্যালঘু পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট- হামলা, জমি দখল ও দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের হয়রানিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের ত্যাগী নেতাদের সরিয়ে দিয়ে নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলেছেন। এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। মনিরুজ্জামান আরও বলেন, মাহাবুব দলে কিত। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে ৩নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভায় ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালায় মাহবুব জোমাদ্দার। এতে ১৬জন নেতাকর্মী আহত হয় এবং ৬টি মটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় তৎকালীন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক মিন্টু মামলা করেন। মামলায় সে জেলও খাটে। পরে দলীয় সিদ্ধান্তে মামলা তুলে নেওয়া হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ন্ত্রন নিতে যুবদলের নেতার ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে সভাপতি মনিরুজ্জামান বলেন,‘ ইউপি সদস্য বশার মালকে প্যানেল চেয়ারম্যান প্রার্থী করেছেন মাহাবুব। উপজেলা যুবদলের সদস্য ফারুক হোসেন প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী হওয়ায় তার ওপর হামলা করেন মাহাবুব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। সংবাদ সম্মেলনে ফারুক হোসেন বলেন,‘ প্যানেল নির্বাচন করতে ইউএনও অফিসে ভোটাভুটি হয়। আমি ও বশারমাল ৪টি করে সমান ভোট পাই। লটারির মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেন ইউএনও। বশার মাল ইউএনও সিদ্ধান্ত না মেনে বের হয়ে যান। আমি ইউএনও অফিস থেকে রেব হলে আমাকে মাহাবুব জোমাদ্দারসহ তার লোকজন মারধর করেন। আরেক ইউপি সদস্য মামুনকেও মারধর করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মাহাবুব জোমাদ্দারকে দল থেকে বহিষ্কার ও বিচারের দাবি করে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. তরিকুল ইসলাম মস্তফা, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক মিন্টু, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. শাহবুদ্দিন হাওলাদার। তবে চাঁদাবাজিসহ সকল অভিযোগ ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক’ দাবি করেছেন সাধারন সম্পাদক মো. মাহাবুব জোমাদ্দার। তিনি বলেন,‘ যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা দল করেন না। তারা সুবিধাবাদী বিএনপি। দলের কোনো আন্দোলন সংগ্রামে তারা ছিলেন না। আমি নির্যাতিত হয়েছি, মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি। এখন বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছি। আমাকে দল থেকে মাইনাস করতে তারা ষড়যন্ত্র করছেন। ’এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন,‘ সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তবে অভিযোগের কোনো সত্যতা পাইনি।’

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

বাউফল বিএনপির সভাপতির অভিযোগ, সম্পাদক ‘চাঁদাবাজ’

আপলোড সময় : 09:19:59 pm, Sunday, 8 September 2024

পটুয়াখালীর বাউফলের সূর্যমণি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাহবুব জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, লুটপাট, বাস স্ট্যান্ড ও বালু মহল নিয়ন্ত্রণে নেওয়াসহ দলীয় নেতাদের হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার ওরফে মনির।

রোববার (৮সেপ্টম্বর) সকালে সূর্যমণি ইউনিয়নের গাবতলা বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মনিরুজ্জামান ওরফে মনির বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতনের পর সাধারন সম্পাদক মাহবুব জোমাদ্দার চাঁদাবাজি, হাট-ঘাট, বাস স্ট্যান্ড ও বালুমহল নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছেন। ইউনিয়নের নুরাইনপুর বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, সংখ্যালঘু পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট- হামলা, জমি দখল ও দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের হয়রানিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের ত্যাগী নেতাদের সরিয়ে দিয়ে নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলেছেন। এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। মনিরুজ্জামান আরও বলেন, মাহাবুব দলে কিত। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে ৩নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভায় ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালায় মাহবুব জোমাদ্দার। এতে ১৬জন নেতাকর্মী আহত হয় এবং ৬টি মটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় তৎকালীন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক মিন্টু মামলা করেন। মামলায় সে জেলও খাটে। পরে দলীয় সিদ্ধান্তে মামলা তুলে নেওয়া হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ন্ত্রন নিতে যুবদলের নেতার ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে সভাপতি মনিরুজ্জামান বলেন,‘ ইউপি সদস্য বশার মালকে প্যানেল চেয়ারম্যান প্রার্থী করেছেন মাহাবুব। উপজেলা যুবদলের সদস্য ফারুক হোসেন প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী হওয়ায় তার ওপর হামলা করেন মাহাবুব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। সংবাদ সম্মেলনে ফারুক হোসেন বলেন,‘ প্যানেল নির্বাচন করতে ইউএনও অফিসে ভোটাভুটি হয়। আমি ও বশারমাল ৪টি করে সমান ভোট পাই। লটারির মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেন ইউএনও। বশার মাল ইউএনও সিদ্ধান্ত না মেনে বের হয়ে যান। আমি ইউএনও অফিস থেকে রেব হলে আমাকে মাহাবুব জোমাদ্দারসহ তার লোকজন মারধর করেন। আরেক ইউপি সদস্য মামুনকেও মারধর করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মাহাবুব জোমাদ্দারকে দল থেকে বহিষ্কার ও বিচারের দাবি করে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. তরিকুল ইসলাম মস্তফা, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক মিন্টু, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. শাহবুদ্দিন হাওলাদার। তবে চাঁদাবাজিসহ সকল অভিযোগ ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক’ দাবি করেছেন সাধারন সম্পাদক মো. মাহাবুব জোমাদ্দার। তিনি বলেন,‘ যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা দল করেন না। তারা সুবিধাবাদী বিএনপি। দলের কোনো আন্দোলন সংগ্রামে তারা ছিলেন না। আমি নির্যাতিত হয়েছি, মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি। এখন বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছি। আমাকে দল থেকে মাইনাস করতে তারা ষড়যন্ত্র করছেন। ’এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন,‘ সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তবে অভিযোগের কোনো সত্যতা পাইনি।’