নড়াইলে প্রতারণা মামলায় সেলিম আজাদ (৩৫) নামে এক প্রতারককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত ।
রোববার দুপুরে নড়াইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে প্রতারক সেলিম আজাদ উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক সাবরিনা চৌধুরী জামিন নামুঞ্জর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো: ওয়াহিদুজ্জামান জুলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রতারক সেলিম আজাদ মাগুরা জেলার সংকোচ খালী এলাকার আক্তার বিশ্বাসের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, লোহাগড়া উপজেলার হেচলাগাতী এলাকার মবকুল শেখের ছেলে পলাশ শেখকে সৌদি আরবের একটি কম্পানিতে ৬০ হাজার টাকা বেতনে চাকুরি দিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৮ লক্ষ টাকা দাবি করে প্রতারক সেলিম। সেলিম বলে প্রথমে ৬ লাখ টাকা দিতে হবে বাকি টাকা ভিসা আসিলে ফ্লাইট এর সময় দিতে হবে। তখন সেলিমকে বিশ্বাস করে পলাশ সেলিমকে ৬ লাখ টাকা প্রদান করে। প্রতারক সেলীম তার নিজ নামীও ১০০ টাকার ৩ টি নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প এ একটি লিখিত দেয় যে সৌদি আরবে না পাঠাতে পারিলে পলাশকে ৬ লাখ টাকা ফেরত দিবে নাহলে আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারিবে। তখন সেলীম জানায় আগামি ২ মাসের মধ্যে ফ্লাইট হয়ে যাবে। এই বলে প্রতারক সেলীম টাকা নিয়া চলে যায়। পরে দুই মাস হলেও ভিসা আর আসেনি আজ আসবে কাল আসবে বলে ঘুরাতে থাকে। পরে সেলীমকে ভিসার কথা বললে সেলীম ঘুরাইতেই থাকে। পরে তার কাছে পাওনা ৬ লক্ষ টাকা চাইতে গেলে প্রতারক সেলীম টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে। ও পলাশকে খুন ও মারত্মক জখম করবে বলে হুমকি প্রদান করেন। পরে পলাশ শেখ বাদী হয়ে এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে নড়াইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মো: ওয়াহিদুজ্জামান জুলু বলেন, প্রতারণা মামলায় সেলিম আজাদ উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক নামুঞ্জর করে প্রতারককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।