বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি। দুই দিনের সফরে আগামী ২১ এপ্রিল ঢাকা পৌঁছাবেন তিনি। এ সফরে জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, বাজার ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বৈদেশিক বিনিয়োগের ভবিষ্যৎসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কাতারের আমিরের সফরের প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশটির সঙ্গে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে দুই দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, কাতারের আমিরের সফরসূচি, সমঝোতা ও চুক্তি চূড়ান্ত করতে শিগরিই অগ্রবর্তী দল ঢাকায় আসবে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, গত বছরে কাতার সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সফরে তরলীকৃত প্রাকৃতিক
গ্যাস (এলএনজি) কিনতে বিদ্যমান চুক্তির মধ্যেই আরও বেশি পরিমাণে জ্বালানি পেতে নতুন চুক্তি করার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। কাতারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে সে সময় সহযোগিতার আশ্বাস মেলে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে কাতারের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশের।
জানা গেছে, কাতারের আমিরের সফরে দেশটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে কাতারে ডাক্তার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ার এবং টেকনিশিয়ানসহ জনশক্তি নিয়োগসংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এ ছাড়া খাদ্যশস্য ও কৃষিজাত পণ্য, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক জোন (এসইজেড) ও হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ এবং রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানসহ দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে আলোচনা হবে।
সূত্রমতে, কাতারে বর্তমানে শতাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক বিভিন্ন অপরাধে দ-িত হয়ে জেলখানায় আছেন। তাদের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছেন। জানা গেছে, এ পরিস্থিতিতে সরকার মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তির চেষ্টা করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, কাতারের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তির বিষয়টি বেশ এগিয়েছে। বিষয়টিও আসন্ন সফরে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।