কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের পূর্ব কাশিপুরে কাকঁড়ী নদীতে মাটি কাটতে বাঁধা ও ভিডিও ধারণ করায় মাটি খেকোদের হামলায় আহত হয়েছেন এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ ৩জন।
রবিবার (৩রা নভেম্বর) সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত কলেজ শিক্ষার্থী সাইফুর ইসলাম পিন্টু বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ করে চৌদ্দগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
কলেজ শিক্ষার্থী সাইফুর ইসলাম পিন্টু বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পূর্ব কাশিপুর গ্রামের মোছলেম মিয়ার ছেলে শাওন, মফিজুর রহমানের ছেলে জোনায়েত, বায়োজিদ, নোমান, মানিক মিয়ার ছেলে আকাশ ও খাসিগ্রামের সাইফুল ইসলাম বিক্রির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে কাঁকড়ী নদী থেকে মাটি কাটা শুরু করে। নদীর দুই পাড়ের ভাঙ্গন আশংকায় আমিসহ এলাকার শিক্ষার্থীরা তাদের মাটি কাটতে নিষেধ করি। রবিবার (৩রা নভেম্বর) সকাল অনুমান ৯ টায় মাটি কাটতে শুরু করলে আমি মাটি কাটার ভিডিও ধারণ করে উপজেলার সরকারি কর্মকর্তাদের প্রেরণ করি। কিছুক্ষণ পর ইউনিয়ন সহকারি ভুমি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসলে মাটি ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রবিবার সকাল অনুমান ১০টায় মাটি খেকোরা আমার বাড়িতে গিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমিসহ আমার বাবা হারুন মিয়া ও মা আলেয়া বেগম আহত হয়। আমার বাবা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্ত জোনায়েত সাংবাদিকদের বলেন, মাটিকাটার সাথে হামলার কোন সর্ম্পক নেই। যাদের জমি তারাই মাটি বিক্রি করেছে। থানায় অভিযোগ করে কি হবে? থানা পুলিশ মাটি কাটা বন্ধ করতে পারবে? আসুক তারা। দেখি।
চৌদ্দগ্রামের উজিরপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা এমদাদুল হক মজুমদার বলেন, কাঁকড়ী নদীতে মাটি কাটার খবর পেয়ে আমি রবিবার সকালে কাশিপুর গিয়েছি। আমি যাওয়ার পূর্বে মাটি কাটার লোকজন সম্ভবত চলে গেছে। সেখানে ছোট ছোট কয়েকটি মাটির স্তুপ দেখেছি। স্থানীয় একজনকে মাটি কাটতে বাঁধা দিতে বলে এসেছিলাম। বিষয়টি উর্ধ্বতন অফিসারদের মৌখিকভাবে অবগত করেছি।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ এটিএম আক্তারুজ্জামান বলেন, মাটি কাটা নিয়ে হামলার ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।